Wednesday, March 21, 2012

রবি দাদুর শান্তিনিকেতন


[প্রকৃতি এভাবেই মিলে মিশে আছে শান্তিনিকেতনের প্রাত্যহিক জীবনের সাথে]


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শান্তিনিকেতন" এর কথা মনে পড়লেই আমার মনে একটা ছবি ভেসে উঠতো, শান্ত-সবুজ উদ্যান, তাতে গাছের নিচে পাঠশালা, সাধা ধবধবে কাপড়ে শিক্ষক-ছাত্র, আত্মার বন্দীশালা থেকে মুক্ত হয়ে সকলে প্রকৃতির কোলে আপন আপন ছন্দ সৃষ্টিতে ব্যস্ত ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছুটা নাটকীয় ধারণা হলেও জানিনা কি করে এধরনের ছবি মনে গেঁথে গিয়েছিলো অনেক আগে থেকেই, আমার ঘুরে বেড়ানোর জায়গাগুলোর মাঝে "শান্তিনিকেতন" একটি অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান হয়ে থাকলেও যাওয়ার সুযোগ কখনই সেভাবে হয়ে উঠেনি, কিন্তু এবার যখন আর দেরি করতে পারলামনা, বসন্ত উত্সবের ঠিক দিন কতক আগে ঘুরেই এলাম বোলপুরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই বিখ্যাত জ্ঞানের আশ্রম "শান্তিনিকেতন"।

অনেক দিন ধরেই যাবো যাবো করছিলাম, তার মাঝে বসন্ত উত্সব এর দিনটা ছিলো লোভনীয় একটা সময়। কিন্তু কোনভাবেই সময় মেলাতে পারছিলামনা, বসন্ত উত্সব মার্চের ৮ তারিখ কিন্তু আমাকে এর আগেই যেতে হবে, তাই অনেক চিন্তাভাবনা করে ঠিক হলো মার্চের ২ তারিখ। ট্রেনে করে বোলপুর সেখান থেকে শান্তিনিকেতন এবং এর আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখার প্ল্যান হলো।

বোলপুর যখন পৌঁছালাম তখন মাত্র সকাল ৯ টা, এরই মাঝে প্রখর রোদ। স্টেশন থেকে বের হতেই রিক্সা নেয়ার জন্য ঘিরে ধরলো অনেকেই। বারবার বলতে লাগলো, শান্তিনিকেতন নিজেরাই ঘুরিয়ে দেখাবে রিক্সা করে, কিন্তু আমাদের নিজেদের হেঁটে হেঁটে ঘুরে দেখার ইচ্ছা| শান্তিনিকেতন, বোলপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে। হাঁটা পথে যাওয়া যায়, কিন্তু এই গরমে সেটা অসম্ভব। তাই রিক্সা ঠিক করা হলো শান্তিনিকেতন এর গেট পর্যন্ত| রিক্সা চালকই আমাদের জানালো যে শান্তিনিকেতন এ দুপুর ১টা পর্যন্ত দর্শনার্থী সব জায়গায় যেতে দেয়া হয়না, ক্লাসের সময়সূচির জন্য। দুপুর ১টার পর থেকে দর্শনার্থীদের জন্য মোটামুটি সব জায়গা খোলা থাকে। আমরা চিন্তায় পড়ে গেলাম, এখনো দুপুর হতে অনেক দেরি, তার উপরে আমাদের ফিরতি ট্রেনের টিকেট সন্ধ্যার। চারিদিক দেখাতে দেখাতে রিক্সাচালক আমাদের নিয়ে গেলো শান্তিনিকেতনের গেটে। সেখান থেকে একটু ঘুরিয়ে আমাদের নিয়ে থামালো এক গ্যালারীতে। গ্যালারীর নাম "নীহারিকা"।

শিল্পী প্রফেসর সেলিম মুন্সীর নিজস্ব বাড়ি এবং গ্যালারী। আমরা গ্যালারী ঘুরে দেখতে লাগলাম, শিল্পীর ভাস্কর্য এবং নানা ধরনের চিত্রকর্ম। অসাধারণ সব কাজ, শান্তিনিকেতন এর উপরে করা অনেকগুলো কাজের প্রদর্শনী হচ্ছে, একই সাথে বেশ কিছু নান্দনিক ভাস্কর্য দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখলাম শিল্পী নিজেই আমাদের সাথে দেখা করতে এলেন, বেশ অমায়িক মানুষ। নিজেই ঘুরে দেখালেন সব, দেখালেন তার কয়েকটি ভাস্কর্য এবং ছবি যা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় শোভা পাচ্ছে, দেখালেন দেশ পত্রিকায় করা তার প্রচ্ছদও। বেশ কিছু ছবিও তোলা হলো শিল্পীর সাথে।

DSC_0010
[শিল্পী সেলিম মুন্সী এবং তার চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্যের একাংশ]


এবার মূল শান্তিনিকেতন এ ঢোকার পালা, গ্যালারীর সামনের রাস্তা সোজা চলে গেছে শান্তিনিকেতন এর ভেতরে, আশেপাশে বেশ কয়েকজন শিল্পীর বাসস্থান।
গেট দিয়ে ঢুকে সামনে এগিয়ে যেতে থাকলাম, চোখে পড়লো একটা অডিটরিয়াম। রাস্তার দুপাশেই বাগান করা আছে, তবে প্রথম দর্শনেই যেটা হতাশ হলাম তা হলো সবকিছু কেমন যেনো অযত্নে বেড়ে ওঠা। বাগানে স্পষ্টত পরিচর্যার অভাব, আশেপাশের জায়গাতেও সেটাই। এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে এগিয়ে গেলেই সামনে বিশাল মাঠ, এখানেই হয় বসন্ত উত্সব। আগে ভেতরের মাঠে হতো, এখন অগুনিত দর্শনার্থীর ভিড়ের কারণে বড় মাঠে আয়োজন করা হয়ে থাকে।


বিভিন্ন জায়গায় লেখা দেখলাম "অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা নিষেধ", কিন্তু আমাদের ক্যামেরা চলছে। তবে লক্ষ্য করলাম, ছাত্র-ছাত্রীর ভিড় নেই, জায়গা খালি খালি। বুঝতে পারলাম কোনো কারণে ক্লাস বন্ধ আছে আজকে।

DSC_0013
[বিশাল বট, রাস্তার পাশে যেখানে খোলা জায়গায় ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থাও আছে]


এরই মাঝে অনির্দিষ্টভাবে ঘুরতে ঘুরে পৌঁছে গেলাম বিখ্যাত "ছাতিম তলায়"।

DSC_0033
[ছাতিম তলা উদ্যান]

এখানে দেখলাম বেশ গোছানো বাগান, চারিদিকে বড় গাছের ছায়ায় দারুন জায়গা। ক্যামেরা হাতে এদিক ওদিক ছবি তুলছি, হঠাৎ কোথা থেকে এক নাক উঁচু দিদিমণি এসে হাজির| আমাকে দেখেই উঁচু গলায় চেঁচিয়ে উঠলেন, "এই যে শুনুন, আপনারা কি অনুমতি নিয়ে এসেছেন, ছবি তোলার জন্য??" আমি অবাক, কি হ্যাঁপা রে বাবা, গাছের ছবি তুলছি তারও আবার অনুমতি, কিন্তু ধারে কাছে তো কাওকে দেখছিওনা। এটা বলতেই, উনি জানালেন, আমাদের নাকি শান্তিনিকেতন থেকে বাইরে বেড়িয়ে প্রধান রাস্তার বিপরীত পাশে গিয়ে অনুমতি নিয়ে আসতে হবে, শুনে আমি অনেকক্ষণ মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ হ্যাঁ করে গেলাম ঠিকই কিন্তু কোনই ইচ্ছা নেই এতদূর আবার হেঁটে ফেরত যাওয়ার। দিদিমণি বেড়িয়ে যেতেই আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি আবার ক্যামেরা চালানোর জন্য, তখন সহযাত্রী অর্ণব বলে উঠলো, পেছন থেকে আবার কে জানি সন্দেহের চোখে দেখছে।

DSC_0036
[ছাতিম তলা উদ্যানের প্রধান ফটক]


এবার অগ্যতা যেতেই হলো, রাস্তার দিকে এগোচ্ছি, এক গাইডকে জিজ্ঞেস করলাম এই বিষয়ে, উনি তো দেখি হেসেই উড়িয়ে দিলেন, বললেন, কোনো অনুমতি লাগেনা, আর আজকে এভাবেও খেলাধুলার জন্য বন্ধ। আমার সাথে চলুন যেকোনো জায়গায় ছবি তোলা যাবে, একই সাথে উনার দক্ষিনাও জানিয়ে দিলেন ২০০ রুপী। ঝামেলা এড়াতে তাতেই রাজি আমরা। তবে গাইড মহাশয় আর যাই করুকনা কেনো বেশ ভালোভাবে আমাদের ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলো পুরো শান্তিনিকেতন।


আবার শুরু করেছিলাম সেই ছাতিম তলা থেকেই, ছাতিম তলা চত্বরটি বছরে শুধুমাত্র দুটো বিশেষ দিনে খোলা হয়ে থাকে। সমাবর্তনের দিন যেদিন রাষ্ট্রপতি পরিদর্শন করেন আর পৌষ উত্সবের দিন। ছাতিম তলার সাথে রবি ঠাকুরের অনেক স্মৃতি জড়িত। এখান থেকেই তিনি অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন জায়গাটিকে জ্ঞানের আশ্রম হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে, যা কিনা এতো বছর ধরে ভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার পথিকৃত হয়ে আছে। সেখানের ইতিহাস শুনতে শুনতে এগিয়ে গেলাম বাগানের জায়গায় যেখানে ক্লাস নেয়া হয়। গাছের নিচেই ছাত্র-ছাত্রীদের বসার ব্যাবস্থা করা আছে, একটু এগিয়ে যেতেই সামনে পড়ে "শান্তিনিকেতন ভবন"।

DSC_0052
[শান্তিনিকেতন ভবন, যা তৈরী করার সময় পাঁচটি ধর্মের রূপক ব্যবহার করা হয়েছিল]

বর্তমানে এই ভবনটি মিউজিয়ামে রুপান্তরিত করা হয়েছে, ভেতরে রবি ঠাকুর থাকার সময়কার বেশ কিছু জিনিসের প্রদর্শনীর ব্যাবস্থা করা আছে। এখানে সুদুর চীন থেকে আগত রবি ঠাকুরের একজন ছাত্রের ইতিহাসও জড়িত, যে কিনা বাংলা ভাষা ও কৃষ্টিকে আপন করে নিয়েছিলো এখানে, সংরক্ষিত আছে সেই ছাত্রের ছবি ও কিছু চিঠি। ভবনটির ঠিক সামনে প্রবেশদ্বারের সামনে একটি ভাস্কর্য। প্রজ্বলিত শিখা হিসেবে ভাস্কর্যটি বানানো হয়েছে কিন্তু যখন রোদ পড়ে এর উপরে তখন ছায়াতে "মা ও শিশু" এর আকৃতি ফুটে ওঠে। দারুন একটা কাজ।

DSC_0044
[ভাস্কর্য, ছায়াতে ফুটে ওঠা মা ও শিশু]


এই ভবনের পিছন দিক দিয়ে এগিয়ে গেলে হাতের বাম পাশে পড়ে "মেডিটেশন হল", সপ্তাহের একদিন সবাইকে ধ্যান করতে বসতে হয় এখানে, দর্শনার্থীরাও ইচ্ছা করলে ধ্যানে অংশ নিতে পারে। পোশাক সাদা হতে হবে, কেউ যদি রঙ্গিন পোশাক পড়ে না জেনে অংশও নেয় তাকে বাধা দেয়া হয়না, কিন্তু পরে তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়া হয়। অন্যান্য দিন হলটি বন্ধ থাকে। এছাড়া ক্রিসমাসে, উত্সবের সন্ধ্যায় এই হলটিই ব্যবহার করা হয় সবার জন্য।

DSC_0049
[ধ্যানগৃহ]


সেখান থেকে খোলা অডিটরিয়াম হয়ে প্রধান ভবনের সামনের চত্বরে। খোলা মাঠের এদিকে শান্তিনিকেতন ভবনে ঢোকার মূল ফটক এর রাস্তা আর মাধবীলতার ঝাড় অন্যদিকে স্কুল ভবন। ভবনের সামনে বানানো বিশাল আকৃতির ঘন্টা।

DSC_0062

[শান্তিনিকেতন ভবন এর সামনে মূল রাস্তা থেকে]

DSC_0066

[সেই ঘন্টা]

DSC_0063

[বিদ্যালয় ভবন]


এগিয়ে গেলে সামনের দিকে লাইব্রেরী এবং খোলা অডিটরিয়াম। অধিকাংশ সময় এখানে নাটক কিংবা বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হয় এই অডিটরিয়ামটি।

DSC_0071

[অডিটরিয়াম এর দেয়ালে শিল্পীর তৈরী ম্যুরাল, এতে রং হিসেবে ব্যবহার হয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান]


এখান থেকে আস্তে আস্তে ভেতরের দিকে যেতে থাকলাম, ছাত্রী হোস্টেল এর রাস্তা হয়ে এগিয়ে গেলে সামনের দিকে বেশ কিছু ভাস্কর্য। এরপরে ছাত্রদের থাকার কিছু ঘর। গাইডের কাছ থেকে জানলাম, এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চলে, কিন্তু মাসিক বেতন খুবই অল্প, এমনকি কোনো শিক্ষার্থী যদি পরবর্তিতে দেশের বাইরে উচ্চ শিক্ষার্থে যেতে আগ্রহী হয় তাহলে তার পড়ার সম্পূর্ণ খরচ বহন করে শান্তিনিকেতন।

DSC_0075

[ছাত্র হোস্টেল লাগোয়া ধ্যানমগ্ন বুদ্ধের বিশাল ভাস্কর্য]

DSC_0082

[ছাত্রদের থাকার কিছু ঘর]

DSC_0084

[ডানায় মুখ লুকানো হাঁস]

দেখলাম এদিকের অংশে প্রস্তুতি চলছে বসন্ত উত্সবের, গীতিনাট্যের জন্য প্রস্তুত হতে দেখলাম শিক্ষার্থীদের। দেয়ালে করা কাজের মাধ্যমে প্রাগৈতিহাসিক যুগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সুন্দরভাবে| সামনে তৈরী করা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মুখায়ব এবং পেছনে দেয়ালে ম্যুরাল|

DSC_0089

[দেয়ালে শিল্পের মাধ্যমে প্রাচীন ইতিহাস]

DSC_0094

[ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মুখায়বের ভাস্কর্য, পেছনে ম্যুরাল]

বেশ কিছু বড় ভাস্কর্য চোখে পড়লো, এর মাঝে লক্ষনীয় বিষয় এদের বানানোর প্রক্রিয়া। সম্পূর্ণ ভেতরের কাঠামো তৈরী করে তার উপরে মূল উপাদান হাতে ছুড়ে ছুড়ে ভাস্কর্যটির বাইরের মূল কাঠামো তৈরী করা হয়েছে।

DSC_0101

এছাড়াও আদিবাসীদের উপর করা কিছু কাজ চোখে পড়লো।

DSC_0097

[সাঁওতাল রমনী ও শিশু]

শান্তিনিকেতনে বাইরের ঘোরার অংশ বলতে এতটুকুই। এর পরে রবি ঠাকুরের জন্য তৈরী করা বাসস্থানগুলো যেগুলোতে সংরক্ষণ করা হয়েছে তার বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন। পুঃনশ্চ, কোনার্ক, উদীচী, শ্যামলী এবং উদয়ন এই পাঁচটি বাড়ি তিনি ব্যবহার করেছেন তার জীবদ্দশায়। এর মাঝে শ্যামলী সম্পূর্ণ মাটির ঘরের আদলে তৈরী, ছোট ছোট থাকার জায়গা। কোনার্ক নিয়ে রবি ঠাকুর অনেক চিন্তা-ভাবনা করেছেন, বাড়িটি বেশ কয়েকবার ভেঙ্গে আবার নতুন করে বানানো হয়েছিল তার নিজের করা ডিজাইনে। বাকি বাড়িগুলো মোটামুটি একই রকম। তবে উদয়ন সব থেকে বড়, এর আসবাবপত্রে আছে প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যের ছাপ।

DSC_0121

[বাগানে নির্মিত ভাস্কর্য]

DSC_0104

[শ্রমিক]

DSC_0117

[সংরক্ষিত গাড়ি]

DSC_0129

[কোনার্ক]

DSC_0127

[উদয়ন]

DSC_0130

[উদয়ন সামনে থেকে]

ঘোরা শেষ হলো, একই সাথে আনন্দিত ও হতাশ। আনন্দিত এই কারণে যে, এখানে আসার স্বপ্ন পূরণ হলো, হতাশ নিজের তৈরী কাল্পনিক ছবির সাথে চরম পার্থক্য দেখে। রবীন্দ্রনাথের বাড়ির অংশটুকু যেটা পুরোটাই সংরক্ষিত সেটা ছাড়া বাকি জায়গাগুলোতে পরিচর্যার দারুন অভাব মনে হলো, কিছুটা খারাপ লাগলো এরকম অযত্নের ছাপ দেখে। ভেবেছিলাম আর একটু গোছানো হবে। সব থেকে ভালো লাগলো বড় করে বাঁধানো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উক্তি, "এখানে আমার কাজের হিসেব কেউ নিতে আসেনি, কেউ প্রশ্ন করতে আসেনি, সামাজিক নিয়মের বাইরে থেকে এখানে আমি নিজের মতো থেকেছি" কিছুটা এরকম ছিলো। ভালো লাগলো স্বাধীনচেতা মুক্তমনের একজন মানুষের এই কীর্তি দেখে যা আজও অমর-অক্ষয়।

আপসোস থাকলো শান্তিনিকেতনের বসন্ত উত্সবে যোগ দিতে পারলামনা বলে, এই একটা দিন হাজারো রঙে সেজে ওঠে পুরো শান্তিনিকেতন, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। তবে ভবিষ্যতে একদিন আবার আসবো এখানে নিজেকে এই সান্তনা দিতে দিতেই বের হয়ে এলাম। পিছে রইলো কয়েক ঘন্টার অসাধারণ কিছু স্মৃতি আর মুঠোবন্ধি কিছু মুহূর্ত।

[কৃতজ্ঞতা : অর্ণব মুখার্জী ( যার ডাক নাম বাবুনী !!) , যে না থাকলে শান্তিনিকেতন ঘোরা হতোনা।]









No comments:

Post a Comment